ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও সংশোধন নিয়ে সমস‍্যায় নির্বাচন কমিশন

22nd January 2020 বর্ধমান
ভোটার তালিকায় নাম সংযোজন ও সংশোধন নিয়ে সমস‍্যায় নির্বাচন কমিশন


পূর্ব বর্ধমান: এবার এনআরসি আতংকে ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধনের জন্য জেলায় জেলায় অতি সংখ্যায় নাম জমা পড়ার কারণে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন নির্বাচন দপ্তর।

 বর্ধমানের বিডিএ কনফারেন্স হলে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং হুগলী জেলার নির্বাচন দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করলেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। উপস্থিত ছিলেন কমিশনের আধিকারিক শৈবাল বর্মণ এবং অমিত রায় চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক বিজয় ভারতী সহ অন্যান্য জেলার প্রশাসনিক আধিকারিক গণ।  এদিন এই বৈঠকে ত্রুটি মুক্ত ভোটার তালিকার ওপর জোড় দেওয়া হয়। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, কিভাবে ত্রুটি মুক্ত ভোটার তালিকা তৈরী করা যাবে তা নিয়ে এদিন নির্দেশ দিয়ে যান রাজ্য নির্বাচন কমিশনের এই দুই এ্যাডিশনাল চীফ ইলেকট্রোরাল অফিসার। উল্লেখ্য, এবার থেকে ইআরও নেট(ERO net) নামে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভোটার তালিকায় নাম তোলা, সংযোজন, বা বিয়োজনের কাজ চলছে। আগামী ২৭ জানুয়ারীর মধ্যে সেই কাজ সম্পূর্ণ হওয়ার কথাও। কিন্তু জানা গেছে, সম্প্রতি এনআরসি আতংকে রীতিমত ভোটার তালিকায় নাম তোলা বা সংশোধনের জন্য হিড়িক পড়ায় রীতিমত সমস্যায় পড়েছেন নির্বাচন দপ্তর।  সূত্রের খবর, বীরভূম জেলায় এই কারণে মোট ৩ লক্ষ ১২ হাজার নাম জমা পড়েছে। যার মধ্যে ১ লক্ষ ৯৯ হাজার সংশোধন সংক্রা্ন্তই। অন্যদিকে, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ ২১ হাজার ফর্ম জমা পড়েছে। যার মধ্যে প্রায় ১ লক্ষ ৭০ হাজার ফর্ম জমা পড়েছে কেবলমাত্র সংশোধনের জন্য। নতুন ভোটার হিসাবে ১ লক্ষ ২০ হাজার ফর্ম জমা পড়েছে। প্রায় ১৯ হাজার ফর্ম জমা পড়েছে নাম বাদ দেওয়ার জন্য। 
এদিকে, আগামী ২৭ জানুয়ারীর মধ্যে এই কাজ সম্পূর্ণ কিভাবে হবে তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এই বিশাল আবেদনকে নথীভূক্ত করার জন্য এই নির্দিষ্ট সময়সীমাকে আরও বাড়ানোরও আবেদন জানানো হয়েছে এদিন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে।

              ছবি - পিন্টু প‍্যাটেল





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।